এবিএনএ : মুসলমানদের ঐক্যের জন্য ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মতভিন্নতা দূর করতে সংস্থাটির উদ্যোগ চেয়েছে বাংলাদেশ। ইস্তানবুলে ওআইসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিখিত বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘মহান ইসলামিক মূল্যবোধ- ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার ও সবার অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নিতে ঐক্য প্রয়োজন।’
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন-ওআইসির ত্রয়োদশ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহমুদ আলী। দুই দিনের এ সম্মেলন শুক্রবার শেষ হয়।
সন্ত্রাসবাদ ও গোষ্ঠীগত সংঘাতসহ নানা সংকটের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্ব যে অস্থির সময় পার করছে তার প্রেক্ষাপটে ‘ন্যায়বিচার ও শান্তির জন্য ঐক্য ও সংহতি’ স্লোগান নিয়ে এবারের সম্মেলন হয়। এতে ৩০টির মতো দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং ২০টির বেশি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন।
সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম দেশের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও গোষ্ঠীগত সংঘাত, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা, ইসলাম ভীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক ত্রাণ সহায়তা, মুসলিম সমাজের পশ্চাৎপদতা, ফিলিস্তিন সংকট, দারিদ্র্য, উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়াবলী এবং ওআইসির দশ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। মুসলিম সম্প্রদায় যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন তা মোকাবেলায় ঐক্য ও সংহতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন নেতারা। আগামী তিন বছরের জন্য ওআইসি যে ‘যৌথ ইসলামিক অ্যাকশন’ নিয়ে এগোচ্ছে সে বিষয়ে কাজ করতে সম্মতি দিয়েছেন তারা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর নেতারা বেশ কয়েকটি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। সেগুলো হলো- ‘রেজোলুশন অন প্যালেস্টাইন, ওআইসি ২০২৫: প্রোগ্রাম অফ অ্যাকশন’, চূড়ান্ত ইশতেহার ও ইস্তানবুল ঘোষণা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মানবিক সহায়তার জন্যও ওআইসির একটি পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ওআইসির সহায়তা প্রত্যাশার পাশাপাশি দারিদ্র্য দূর করতে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে দারিদ্র্য নিরসনে ‘ওআইসি-২০২৫ প্রোগ্রাম অফ অ্যাকশন’ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।